এবিএনএ: সিলেটে দলীয় সর্বোচ্চ ওয়ানডে রানের ম্যাচটা বৃষ্টির পেটে গেছে। চট্টগ্রামে টি-২০ ফরম্যাটে নিজেদের দলীয় সর্বোচ্চ ২১৫ রান টপকে যাওয়ার পথে ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু বৃষ্টি বাধায় ১৯.২ ওভারে নিজেদের তৃতীয় সর্বোচ্চ ২০৭ রানে থামে টাইগাররা। এরপর ৮ ওভারে ১০৪ রানের লক্ষ্য পেয়ে আইরিশরা ঝড়ো শুরু করলেও তাসকিনের দুর্দান্ত বোলিংয়ে বৃষ্টি আইনে ২২ রানে জিতেছে বাংলাদেশ।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে লিটন দাস ও রনি তালুকদারে দুর্দান্ত শুরু পায় বাংলাদেশ। দুই টাইগার ওপেনার ৯১ রান যোগ করেন। লিটন ফিরে যাওয়ার আগে ২৩ বলে চারটি চার ও তিন ছক্কায় ৪৭ রানের ঝড় দেখান। এরপর নাজমুল শান্ত ১৩ বলে ১৪ রান করে আউট হন। অন্য ওপেনার রনি তালুকদার দারুণ এক ইনিংস খেলেন। তিনি ৩৮ বলে ৬৭ রানের ঝড় দেখিয়ে সাজঘরে ফেরেন। তার ব্যাট থেকে আসে সাতটি চার ও তিনটি ছক্কার শট। চারে নেমে তরুণ শামিম হোসেন পাটোয়ারিও ব্যাট চালিয়ে খেলেন। ফেরার আগে তিনি ২০ বলে ৩০ রান করেন। দুটি চার ও এক ছক্কা তোলেন তিনি।
এরপর তাওহিদ হৃদয় ৮ বলে ১৩ রান করে আউট হন। সাকিব আল হাসান ১৩ বলে ২০ রানের ইনিংস খেলেন। তিনটি চার মারেন তিনি। তার সঙ্গী মেহেদি মিরাজ এক বল খেলে একটি চার মারেন। এরপর নামে বৃষ্টি। না হলে টি-২০’র দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২১১ কিংবা সর্বোচ্চ ২১৫ রান টপকে যাওয়ার সুযোগ ছিল স্বাগতিকদের।
বৃষ্টির পরে কার্টেল ওভারে ব্যাট করতে নেমে আইরিশরা নাসুম আহমেদের করা প্রথম ওভারে ১৮ রান তুলে নেয়। এরপর ২.৪ ওভারে ৩২ রানে ওপেনার রস এডায়ারকে হারায়। তিনি ১০ বলে ১৩ রান করেন। চতুর্থ ওভারে তাসকিন আহমেদ তিন উইকেট নিয়ে বড় ধাক্কা দেয় আইরিশ শিবিরে। যে ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে পারেনি তারা। ৮ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৮১ রানে আটকে যায়। তাসকিন ২ ওভার হাত ঘুরিয়ে ১৬ রান দিয়ে নিয়েছেন ৪ উইকেট।